Bee ধারাবাহিক উপন্যাসঃ নাইয়র (পর্ব-চার) Good Luck

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩৬:৩৫ সকাল



চার.

দেখতে দেখতে আরো চারটি মাস কেটে গেলো।

বর্ষা শেষ হয়ে শরৎ শুরু হয়েছে। শ্রীরামকাঠী গ্রামের মানুষগুলোর জীবনযাত্রাও প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে। মোতাহারের জন্য এই দিনগুলো ছিল উত্তাল। সে এই বর্ষায় দেখেছে কাঁচা রাস্তায় চলাচলে কতটা কষ্ট পায় মানুষ।একটা মাস্টার প্ল্যান করেছে মূল রাস্তাগুলোর সংস্কারের জন্য। এরপর শাখা রাস্তাগুলোকে ধরা যাবে। সেই রুপরেখা অনুযায়ী ওকে ইউএনও অফিস-উপজেলা কমপ্লেক্স আর লোকাল এমপি'র কাছে ছুটতে হয়েছে। একই সাথে পারুলের স্কুলের জন্যও তাঁকে চিন্তা করতে হয়েছে। পারুলের সাথে ঢাকা যেতে হয়েছে... এনজিও'র থেকে এ ব্যাপারে ডোনেশন তোলা- এতো চাট্টিখানি কথা না। তাঁদের প্রতিনিধি এখানে এসে সব কিছু দেখে গেছেন। সন্তষ্ট হয়ে ফিরে যাওয়ার পিছনে গ্রামবাসীর জন্য যতটা না দরদ সেই ইন্সপেকটরদের ভিতরে কাজ করেছে, তাঁর থেকে বেশী কাজ হয়েছে- তারা এই দুই তরুন-তরুনীর উদ্যম দেখেছেন... তাঁদের স্বপ্নের কথা শুনেছেন... আর সেগুলো বাস্তবায়নে তাঁদের একাগ্রতা দেখে অভিভূত হয়েছেন।

স্কুলের রেজিষ্ট্রেশনের কাজেও পারুলকে অনেক কষ্ট করতে হল। গ্রামবাসী তাঁদের যার যা সামর্থ্য রয়েছে, তাই নিয়ে স্কুলের পাশে নিজেদেরকে দাঁড় করায়। ধীরে ধীরে প্রথমে একটি কাঠামো...এরপরে সেখানে ছাউনি, বেড়া, দরোজা, জানালা এবং সর্ব শেষে একটি দৃশ্যমান ঘর তৈরী হয়। সকলের বুক গর্বে ভরে ওঠে। কারণ এই প্রতিষ্ঠান বানাতে তাঁদের সবারই অবদান রয়েছে।

শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজনের বুকে আগুন জ্বলতে থাকে।

হাবিব মুন্সীর নেতৃত্তে দুষ্ট চক্রের পাঁচজন সদস্য ভিতরে ভিতরে চক্রান্ত করতে থাকে। কিন্তু তারা বাইরে প্রকাশ করে না। এরা এ ধরণেরই হয়। কাউকে বুঝতে দেয় না। বুকে জড়িয়ে ধরে পিছন থেকে খঞ্জর বসিয়ে দিতে জানে শুধু। হাবিব মুন্সী সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে তাঁর কথা মত চলার নির্দেশ দেয়। আর সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকে...একদল ধুর্ত শেয়াল। গ্রামের লোকেদের ভাষায় 'পাতি হিয়াল'।

কবি মুজিবর স্কুলের ব্যাপারে যেদিন মিটিং হল, সেদিন রাতে পারুলের কাছে যায়। ওকে বুঝায় এভাবে সরাসরি হাবিব মুন্সীর বিরোধিতা করাটা ঠিক হয় নাই। পারুল সহজভাবে জানতে চায়,' একথা কি নিজের থেকে বলছ? নাকি অন্য কারো কথা তোমার মুখ দিয়ে বের হচ্ছে?' মুজিবর ওর কথায় কষ্ট পেলেও সেও সহজ ভাবে বলে, ' আমি অন্যের লেখা নিয়ে রিসার্চ করি ঠিকই, কিন্তু যখন কিছু এ মুখ থেকে বের হয়- তা আমার নিজের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া একান্ত নিজেরই কথা জেনো।' পারুল জিজ্ঞেস করে,'আমাকে কি সাবধান করতে এসেছ? কিন্তু কেন?' একটু চিন্তায় পড়ে যায় কবি। মনে মনে ভাবে, তাইত, কেন এসেছি এখানে? পারুলের চোখে চোখ রেখে শেষে বলে, 'ভালবাসার জন্য... ভালবাসার টানে চলে এসেছি!'

'আবার কবে ছেড়ে যাবে?' - পারুলের এ কথায় আহত হয় মুজিবর। ব্যথিত হৃদয়ে পারুলকে বলে, ' একবার ভুল করেছিলাম... কিন্তু তাই বলে বার বার ভুল করব তার তো নিশ্চয়তা নেই। ভুল থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি।' পরক্ষনেই বলে, ' বাদ দাও, এগুলো পরেও আলাপ করা যাবে। কিন্তু তোমাকে এখন থেকে সব দিক চিন্তা করে পা ফেলতে হবে।' পারুল প্রগাঢ় স্বরে বলে, ' কেন , তুমি সাথে রয়েছ না!' ওর হাত বাড়িয়ে দেয় মুজিবরের দিকে... বলে, ' আমার পাশে থাকবে কবি?' হেসে পারুলের বাড়ানো হাতকে নিজের হাতে তুলে নেয় কবি মুজিবর। বলে, ' কেন নয়!' এক পরম তৃপ্তি ও নিশ্চয়তাবোধের আড়াল থেকে আরো কি যেন পারুলকে অভিভূত করে ... চোখের দু'কোন বেয়ে নেমে আসা আনন্দাশ্রু ওর মনের ভিতরের শক্তিকে আরো প্রবল করে তোলে।

দিন ও রাতের মিলনের সময়টাতে এক কবি ও এক যুবতি পাশাপাশি হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়... একটা মেঠো পথ ধরে...অন্ধকারে সাদা মাটি স্পষ্ট দেখা যায়। কিন্তু আশেপাশের সব কিছুকে গ্রাস করেছে নিচ্ছিদ্র অন্ধকার। সেই সাদা পথটি ধরে দুজনে হেঁটে চলে... কবি মুজিবর অন্য আর এক কবির কবিতা আবৃত্তি করে... বাতাসে ওর আওয়াজ ভেসে বেড়ায় বহুদূর ... এক হৃদয় থেকে অন্য এক হৃদয় পর্যন্ত... এতোটা দূরত্ব!!

"পাশের চেয়ারটা দেখছো এটা

ভালোবাসার

চিরদিনই শূন্য ছিলো আজো আছে

এটাতে কেউই বসেনি কোনোদিন

ওপরে যে পাখাটা ওটা সুখের

বহুদিন হলো অকেজো হয়ে আছে,

এ ঘরে বাতাসহীনতায় আছি, সুখে আছি

বিবর্ন চেয়ারে আমি বড়ো সুখে আছি।

কেন এলে বলো বেশতো ছিলাম

শুধু শুধু করাঘাত করলে চেতনায়

বড়ো অবেলায় এলে – বড়ো অবেলায়।"১

... ... ...

গতকাল 'কলতান কিন্ডারগার্টেনের' উদ্বোধন হয়ে গেলো।

পিরোজপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার, নাজিরপুর থানা শিক্ষা অফিসার আর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। তবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ইনভাইট করা হয়নি। পারুল মোতাহারকে বুঝিয়েছে যে, এখানে চিহ্নিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আনা হলে এই যে একটা ঐক্য গড়ে উঠেছে- সেখানে কোনো না কোনো ভাবে ফাটল ধরতে পারে। এখন সবাই যে একই ব্যানারে এক হয়েছে, তা কিন্তু শুধুমাত্র তাঁদের ছেলেমেয়েদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। না হলে, যারা স্কুলের ব্যাপারে এক হয়েছিলেন- তাঁদের ভিতরে রাজনীতির সমর্থনের দিকে চিন্তা করলে অনেক বিভক্তি দেখা যাবে। সেই দিক বিবেচনায় মোতাহার এবং মুজিবর পারুলের কথায় রাজী হয়।

সন্তোষ মন্ডল তাঁর মিষ্টির দোকানে একা বসে আছেন।

গতকাল বাচ্চাদের স্কুলটির উদ্বোধনের সময় তিনিও ছিলেন। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে। একটা মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে কোনো কাজ আটকে থাকে না। পারুল-মোতাহার-মুজিবর আর অন্য সকল গ্রামবাসীর কাজে সন্তোষ মন্ডল খুব খুশী হন। তাঁর চোখ ভিজে উঠে। এগুলো বয়সের লক্ষণ। বুঝতে পারেন তিনি। তবে এই গড়িয়ে পড়া অশ্রু আনন্দাশ্রু!

আনন্দ? কিসের?

সবাই যে অনেকদিন পড়ে এক হতে পেরেছে সেজন্য?

অনেক বছর আগের আরো একটি ঘটনা তাঁর মনে পড়ে। সেবারও তো সবাই এক হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তখন জাতিভেদ ছিল। সেই বাবরি মসজিদ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সময়ের কথা। নাজিরপুর ইউনিয়নের ভিতরে এই শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ভিতরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা একেবারে কম না। বেশ কয়েক ঘর হিন্দু পরিবার মুসলমানদের সাথে একেবারে পারিবারিকভাবেই মিলেমিশে বাস করে আসছিল। একজনের পারিবারিক অনুষ্ঠান-পার্বণগুলোতে অন্যদের ডাক পড়ে। একজন অন্যজনের হাড়ির খবর পর্যন্ত জানে। দাদা আর ভাই মিলে এক অন্যরকম সংস্কৃতির জন্ম নিয়েছিল। এখানের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনতার পক্ষের একটি দল এবং সরাসরি বিরোধিতা করা আর একটি দল- এ দুটো দল প্রভাব বিস্তার করে এসেছে... এখনো করছে। স্বাধীনতার পক্ষের দলটির প্রধান ছিলেন একজন হিন্দু যিনি সেই দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ছিলেন... এখন অবশ্য প্রয়াত।

তারপরও বাবরি মসজিদ নিয়ে গন্ডগোলের সময়ে তাদের উপর হামলা হয়। তারা এই গ্রামে... এই দেশে সংখ্যালঘু। কিন্তু একটা ব্যাপার ভেবে আজও সন্তোষ মন্ডলের হৃদয়ে ব্যথা জাগে। যারা তাদের উপরে হামলা করেছিল, তারা তো বাইরের গ্রামের কেউ ছিল না। যদি বাইরের কেউ হতো, তিনি এতো কষ্ট পেতেন না। তার বাজারের ব্যবসার দোকানে যারা হামলা করেছিল, তাদেরকে কত তিনি নিজ হাতে মিষ্টি খাইয়েছেন... বিভিন্ন পূজা-পার্বণে ফ্রি ডেকে ডেকে খাইয়েছেন... সেই তারাই কীভাবে তার দোকানটিতে আগুন দিতে পারলো? ঐ সব যুবকদেরকে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ওদের ছেলেবেলায় কত আদর করেছেন... বাড়ির নারিকেল, আম, কাঁঠাল, জামরুল এসব তো ওরা ইচ্ছেমত খেয়ে খেয়ে বড় হয়েছে। কেউ বলতে পারবে না, মন্ডল বাড়ির ফল-ফলাদির কোনো কিছু তারা চেয়েও পায়নি। সেই তারাই সন্তোষের পিতা ভূপেন মন্ডলের মঠটি (সমাধি) ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দিলো। সন্তোষের স্ত্রী বাঁধা দিতে গিয়ে সেই যাদেরকে এক সময় নিজ হাতে মুখে তুলে খাইয়েছিলেন, তাদের হাতে আহত হলেন!

একজন কাস্টমার আসে দোকানে। চিন্তার ভিতর থেকে সন্তোষ বের হন। কর্মচারী ছেলেটি মিষ্টি মেপে দিয়ে দেয়। ক্যাশে বসা সন্তোষ মৃদু হেসে টাকা নেন... বাকি টাকা ফেরত দেবার সময় এই পরিচিত কাস্টোমারটির কথা ভাবেন। এখন কত ভালো ব্যবহার... অথচ পরিস্থিতির চাপে পড়ে এই লোকটিই হয়ত সন্তোষের নিকট ভীষণ অপরিচিত হয়ে উঠবে।

তবে বাবরি মসজিদের সময়ে তো তেমন বড় কিছু হয়নি। কোনো রক্তপাত সেবারে হয়নি। যা হবার ২০০১ এর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হয়েছে। সেই লজ্জার কথা... বিবেকহীনতায় মেতে উঠা ধর্মের নামধারী কিছু কুলাঙ্গার পশুদের হায়েনার বীভৎসতায় ঝাঁপিয়ে পড়া তিনি কীভাবে ভুলে যাবেন? কি করেনি তারা সেই সময়ে? কোনো ধর্মে কি এমন নারকীয় তান্ডব ও বীভৎসতাকে সমর্থন করা হয়েছে?

এরপর সরকার পরিবর্তন হল... মানুষের মানসিকতার কি পরিবর্তন হয়েছে আদৌ? তারা হিন্দু- এটাই তাদের সব থেকে বড় অপরাধ? এজন্য একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং আঁতাতের অভিযোগ করা হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে। এটা তো ঠিক নয়। আর সেই দলটি পরাজিত হলে চরম নিপীড়ন চলে তাদের উপর। যেন সংখ্যালঘু একটি জাতির ভোটেই সেই নির্দিষ্ট দলটি প্রতি বার জয়লাভ করে।

এজন্য গতকাল যখন পারুল স্কুল উদ্বোধনের সময় তাকেও সভামঞ্চে কিছু বলার আহ্বান জানায়- তিনি প্রথমটায় বিব্রত বোধ করেন। কারণ সেখানে অনেক জ্ঞানী-গুনীজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু একবার যখন তার নাম ঘোষণা করেই ফেলা হয়েছে, নিজেকে তো আর লুকিয়ে রাখা যায় না। সেটাও অভদ্রতা হয়। স্বাভাবিক সৌজন্যতা দেখিয়ে তিনি স্কুলের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। কীভাবে কয়েকজন শিক্ষিত তরুন ও গ্রামবাসীর নিরলস প্রচেষ্টায় এই স্কুল তৈরী হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেষে বলেন, ' আমরা সবাই এই স্কুলের জন্য এক হয়েছি... এই একতা যেন আমাদের ভিতরে থেকে যায়। এখানে হিন্দু-মুসলমান এক সাথে আমরা একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছি। এখানে যেন এই ঐক্যের শিক্ষাটাই দেয়া হয়। এখানে যেন মানুষ পরিচয়টি শিশুদের কোমল মনে সবার আগে গেঁথে দেয়া হয়। সবাই প্রথমে মানুষ... এরপর সে হিন্দু-মুসলমান। আর যেন আমাদেরকে কোনো বাবরি মসজিদ নিয়ে নিজেদের ভিতরে মারামারি-কাটাকাটি করতে না হয়। আর যেন কোনো ২০০১ না আসে... আমাদের কে চরম লজ্জায় ঠেলে যেন দেয়া না হয়... এই স্কুল হয়ে উঠুক মানুষ বানানোর কারিগর...হিন্দু বা মুসলমান বানানোর নয়।'

সন্তোষ মন্ডলের কথাগুলো সকলের মনে অনেক দাগ কাটে... প্রচণ্ড করতালিতে স্কুল প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠে। জেলা শিক্ষা অফিসার নিজেও তাঁর বক্তব্যে সন্তোষের বক্তব্যের প্রশংসা করেন... তার চিন্তাধারার গভীরতা তাঁকে অভিভূত করেছে এটাও জানান।

নিজের ক্যাশে বসে বসে সন্তোষ এটাও ভাবে যে, আবারও যদি জাত নিয়ে কোনো গন্ডগোল হয়, তবে তার দেওয়া ভাষনে মুগ্ধ হওয়াদের ভিতর থেকেই সবার আগে আক্রমন হবে তারই উপর। পাশের বন্ধু দেশের সরকার পরিবর্তন হয়েছে। নতুন সরকারপ্রধান ইতোমধ্যেই নাকি ঘোষণা দিয়েছেন যে, সেখানের অবৈধ বাংলাদেশীদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। একদিক দিয়ে খারাপ কিছুই বলেন নাই। অবৈধ কেউ থাকবেই বা কেন? কিন্তু যে দেশে হাবিব মুন্সীর মত দুষ্ট চক্রের প্রধানরা রয়েছে, তারা এই ইস্যুটিকে সাধারণ মানুষের ভিতরে এমন ভাবে তুলে ধরবে যে, সাধারণ মুসলমানেরা হয়ত আবারো উগ্র হয়ে উঠবে।

এটা যুগে যুগে হয়ে এসেছে... হয়ে চলেছে এবং হতে থাকবে। এ থেকে কি পরিত্রানের পথ নেই? সন্তোষ মন্ডলেরা কি সব সময়েই এভাবে নিগৃহীত হতে থাকবে? তবে একটি স্কুল করা হয়েছে। সেখানে একেবারে কচি কিছু প্রাণ ফ্রেস হৃদয় নিয়ে শিক্ষা নিতে যাবে। তাদেরকে যদি জাতপাত ভুলিয়ে দিয়ে সবাই মানুষ ... সবাই বাংলাদেশী... এটা শিক্ষা দেয়া যায়, তবে একদিন হয়তো সন্তোষেরা আক্রমনের হাত থেকে বেঁচে যাবে। হায়েনার থাবার পরিবর্তে তাঁদের হাত হয়ে উঠবে ভালবাসার নরম হাতে... সেখানে শোভা পাবে বসন্তের রঙিন ফুল! Rose

(ক্রমশঃ)

১[ কবিতাঃ রুদ্র মোহাম্মাদ শহীদুল্লাহ]

বিষয়: সাহিত্য

৯১৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

262226
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
কাহাফ লিখেছেন : নান্দনিকতায় পূর্ণ আজকের পর্বও অনেক ধন্যবাদ। .......পরিবেশ ও অবস্হান বিবেচনায় যে কোন বিষয়ের গুণগত নির্ধারিত হয়,সাম্প্রদায়িকতাও তেমনি।প্রবাসে বাংগালী সম্প্রদায় বলে গর্ব করি,ধর্ম যুক্ত হলেই যত অসুবিধা।ভৌগলিকতায় সম্প্রদায় হতে পারলে ধর্মীয় সম্প্রদায় অবশ্যই হবে ,একে খাটো করে দেখা যাবে না। ...সন্তোষ সাহেবের ভাবনায় বাবরী মসজিদ ভাংগার ব্যাপারে কোন অনুশোচনা দেখলাম না,যদিও মোদী সরকারের বাংলাদেশী বিতাড়ণে জোড়ালো সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে।.....আরো কিছু বলার আছে আমার.........। অনেক ভালো থাকুন এই দোয়া করি।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
206153
মামুন লিখেছেন : খুব সুন্দর মন্তব্য। হ্যা, সন্তোষ মন্ডলের ভাবনায় বাবরি মসজিদ নিয়ে কোনো ভাবনা আসে নাই, কারণ তারা এই দেশে সংখ্যালঘু। নিজেদের যাতনায়ই অস্থির। আর মোদী সরকারের বাঙ্গলাদেশী বিতাড়নে জোড়ালো সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে, এটাও কিন্তু অন্যভাবে দেখা যায়। 'অবৈধ ভাবে থাকার দরকারটা-ই বা কি?' একে কিন্তু 'বাংলাদেশী বিতাড়ন' বললে মিল খায় না। বৈধ ভাবে যারা রয়েছেন, তাদেরকে কোনোভাবে বের করা যায় না।
সন্তোষকে এ দেশের একজন শান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যারা নির্যাতিত হয়েও দেশ ত্যাগ করে নাই, এ দেশের প্রতি মায়ার টানে পড়ে আছে। অথচ তার মেয়ে -মেয়ে জামাই ভারতে সুন্দর ভাবেই রয়েছে। ইচ্ছে করলেই সেও চলে যেতে পারে। বা্বরি মসজিদের জন্য শিবসেনা নামের উগ্র হিন্দু গ্রুপটি দায়ী ছিল- এজন্য যেমন সকল হিন্দুদেরকে ঢালাও ভাবে দোষ দেয়া যায় না, তেমনি এ দেশে হিন্দুদের ওপর হামলার দায়ভার ও সমগ্র মুসলমানের উপরেও যায় না। আমাদের ধর্ম শান্তির ধর্ম, সেখানে পারষ্পরিক সহাবস্থানের কথা কি উল্লেখ নাই?
আপনার যা বলার নিঃসংকোচে বলুন। এই গল্পটি তো লেখাই হচ্ছে, সবার কথা বলার ভিতর দিয়ে নিজেদের কন্সেপ্টকে ক্লীয়ার করার জন্য।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Good Luck
262243
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:২২
কাজি সাকিব লিখেছেন : দুর্দান্ত হয়েছে আজকের পর্বটি!চালিয়ে যান!
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
206174
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ!
সাথে থেকে অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো।Happy Good Luck Good Luck
262262
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০১
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : সন্তোষ চরিত্রাংকনকারীর স্রষ্টাকে ধন্যবাদ আপনাকে নয় ভাই।আপনার জন্য শুভ কামনা।
সাথেই থাকছি।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
206210
মামুন লিখেছেন : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহপাকের, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ দিয়েছেন।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Happy>- Happy>- Good Luck
262267
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২২
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : দারুন ও উপভোগ্য রচনা। চরিত্র গুলো ভালই ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
206211
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ টিপু ভাই।
শুভেচ্ছা রইলো।Good Luck
ভালো থাকবেন।Happy
262281
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৩
206213
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File